জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ আগস্ট ২০১৯

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান

ক্ষেত্র : কারিগরি

শ্রেণি : ব্যক্তিগত

পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি : ডা. পলাশ সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, তজুমদ্দিন, ভোলা।

ডা. পলাশ সরকার 

 

পরিচিতি : জনাব ডা. পলাশ সরকার, বিসিএস (প্রাণিসম্পদ) ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।  তিনি পশ্চিম আলীপুর ব্রজবাসী রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দশমিনা, পটুয়াখালী থেকে এস.এস.সি. এবং সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, মাদারীপুর থেকে এইচ.এস.সি. পাস করেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিগ্রি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

 

অবদান : অধিক উৎপাদনশীল সংকর জাতের গাভী তৈরির জন্য গাভীর কানে ডিজিটাল RFID চিপসহ কৃত্রিম প্রজনন ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রবর্তন ।

 

কার্যক্রম : কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংকর জাতের গাভীর সৃষ্টি তথা গাভীর জাত উন্নয়ন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। প্রান্তিক পর্যায়ে এ সেবা প্রদানের একটি প্রধান অন্তরায় হচ্ছে রের্কড কিপিং যা বর্তমানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গতানুগতিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তথ্যের অপ্রতুলতায় খামারিগণ সঠিক সময়ে কৃত্রিম প্রজনন সেবা গ্রহণ করতে পারেনা, ফলে জাত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গাভীর জাত উন্নয়ন তথা সঠিক পরিবীক্ষণের জন্য মানসম্মত তথ্যভাণ্ডার প্রয়োজন। কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান না থাকায় খামারিগণ বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তির স্বীকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। Pedigree সঠিকভাবে সংরক্ষণ না থাকার কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গাভী পালনকারী এবং ডেইরী খামারী বা দুগ্ধ খামারীরা তাদের প্রত্যাশিত ফলাফল হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

ডা.পলাশ সরকার- এটুআই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় গাভীর কৃত্রিম প্রজনন ট্র্যাকিং সিস্টেম বা গাভীর কানে ডিজিটাল RFID চিপ সংযোজনপূর্বক অধিক উৎপাদনশীল গাভীর সংকর জাত তৈরি করে দুধের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এ প্রশংসনীয় উদ্যোগের জন্য ডা. পলাশ সরকারকে জনপ্রশাসন পদক ২০১৯ প্রদান করা হলো।